শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০২:০৩ অপরাহ্ন

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে

স্বদেশ ডেস্ক: স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানান, ভ্যাকসিন দেয়ার বয়সসীমা আরো কমানো হবে যদি আরো ভ্যাকসিন আনা সম্ভব হয়। তখন শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার শিডিউলের বিষয়টিও ভেবে দেখা হবে।

আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডিপ্লয়মেন্ট ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এক বিশেষ সভা শেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এই কথা জানান তিনি। মন্ত্রী জানান, বিদেশি নাগরিক, সরকারি কর্মচারী, বিভিন্ন পোর্টে যারা কাজ করেন তাদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা অনুযায়ী টিকা পাবেন বিদেশিরা।

তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত দেশের ৪৫ লাখ ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছে এবং ইতিমধ্যেই ৩৩ লাখ ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যেই দেশের ১ হাজার ৭টি ভ্যাকসিন বুথে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। আগামী জুলাই পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে কোভ্যাক্স এর ১ কোটি ৯ লাখ ভ্যাকসিনসহ মোট ৪ কোটি ভ্যাকসিন দেশের মানুষের শরীরে প্রদানের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ছাড়া অন্য দেশ থেকেও টিকা আনার জন্য আলোচনা চলছে।

স্বাস্থ্য বলেন, গত ১ মাস দেশব্যাপউ ভ্যাকসিন প্রদানে বাংলাদেশের প্রশংসা কেবল দেশেই নয়, বিদেশ থেকেও হয়েছে। ভ্যাকসিন প্রদানে বিশে^র বহু দেশ এখনও হিমশিম খাচ্ছে।

কিন্তু দেশের স্বাস্থ্যখাত এই ভ্যাকসিন প্রদানে এখন পর্যন্ত যথেষ্ট সফলতা দেখিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে পারলে আগামীতেও ভ্যাকসিন প্রদানে দেশের সুনাম বিশ্বব্যাপি অক্ষুন্ন থাকবে। ভ্যাকসিন প্রদানে ভবিষ্যতে যাতে কোন রকম সমন্বয়হীনতা দেখা না দেয় সেজন্য প্রতি ১৫ দিন পর পর সচিবালয়ে অন্তত একটি করে ভ্যাকসিন আপডেট সভা করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরবর্তী ধাপে দেশের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট একটি অংশসহ দেশে থাকা বিদেশি নাগরিকদের, বিভিন্ন বন্দরে কর্মরত ব্যক্তিদের, দেশের পাঁচ তারকা হোটেলে কর্মরত ব্যক্তিদেরকেও ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আগামীতে আরো ভ্যাকসিন ক্রয় করতে বিশ্বের বিভিন্ন দাতা সংস্থাসমূহ প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা প্রদানে আগ্রহ দেখিয়েছে বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় উল্লেখ করেছেন। ভবিষ্যতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন হাতে চলে এলে ভ্যাকসিন প্রদানে ৪০ বছরের বাধ্যবাধকতা কমিয়ে আনা হতে পারে বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

এসময়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877